সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ , ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভূমিকম্পের শঙ্কায় কাগুজে প্রস্তুতি বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ ৭ দফা দাবি নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চায় পরিবার টালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দেন : খন্দকার মোশাররফ শান্তিগঞ্জে নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রি : আটক ১, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা সংলাপ, সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্য উদ্ধার হয়নি রণভূমির অস্ত্র ঈদের পর ফের উত্তপ্ত হবে রাজনীতির মাঠ স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি পথে যেতে যেতে-পথচারী পুলিশকে পাশ কাটিয়ে দেশ গড়া যাবে না : প্রধান উপদেষ্টা শান্তিগঞ্জে নদী তীরের মাটি কেটে অবাধে বিক্রি খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কুরবাননগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান হাওরের শক্তি হিজল গাছ জগন্নাথপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরে রাস্তার সর্বনাশ জামালগঞ্জে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পুলিশের পোশাক উদ্ধার মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১০দফা দাবিতে মানববন্ধন দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

টালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দেন : খন্দকার মোশাররফ

  • আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ১১:৫০:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ১২:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
টালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দেন : খন্দকার মোশাররফ
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আর টালবাহানা নয়, অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তাহলে আপনারা সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ফিরিয়ে দেবে। আজকে নির্বাচন নানা পদ্ধতিতে বিলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি। আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করেন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনও ষড়যন্ত্র দেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, সেটা চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট। ওই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ও তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তাকে এই দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তিনি চারবারের মতো চিফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম দেলোয়ার হোসেন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। আমরা অনেক ক্লোজলি কাজ করেছি। আমরা কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন উনি উল্টো আমাদের বুঝিয়েছেন, রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। রাজনীতি কোনও পদ পদবির জন্য করি না। এই শিক্ষাটা উনি আমাদের দিয়ে গেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাহেব দলের ক্রান্তিকালে অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের পরে আমাদের দলকে স্তব্ধ করার জন্য ১১ বছরের যে মহাসচিব ছিলেন, তাকে সংস্কারপন্থি বানিয়ে ফেলা হলো। সেই সময় আমরা কারাগারে ছিলাম। এভাবে যদি দল দুই ভাগ হয়, তাহলে কীভাবে রক্ষা হবে। মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাহেব অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে তখন মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্য সন্তানরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স